মোটরের নেমপ্লেট সমগ্র পার্ট-১


মোটরের নেমপ্লেট সমগ্র পার্ট-১


আজকে আমরা জানব মোটরের নেমপ্লেট এর কি কি তথ্য দেওয়া থাকে ,কিভাবে একটি ভালো মানের মোটর কিনতে পারব, কতক্ষন এটি একনাগাড়ে চলতে পারবে ইত্যাদি সম্পর্কে।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাকঃ

পুরো বিষয়টি আমরা দুই পার্টে জানব ,কেনোনা অনেক বড় টপিক।

যে যে বিষয়গুলো আমি হাইলাইট করব সেগুলো হলঃ
1.    Voltage
2.    Frequency
3.    Phase
4.    Current
5.    Type
6.    Power factor
8.    Full-load speed
9.    Efficiency
10. Duty
15. Frame

 ১০ টি আজকে ব্যাখ্যা করবঃ

v  ভোল্টেজঃ এটি কত ভোল্টেজ এ অপারেট করবে তা দেওয়া থাকে।
230Δ/400Y (13.6A/7.8A) এভাবে লেখা থাকে নেমপ্লেট
দুইরকম ভোল্টেজ চালানো যাবে, ডেল্টায় ২৩০ ভোল্টেজ কারেণ্ট নিবে ১৩. অ্যাম্পিয়ার এবং স্টার কানেকশন ৪০০ ভোল্টেজ কারেন্ট নিবে . অ্যাম্পিয়ার

v  পাওয়ারঃ এটি kw অথবা hp তে লেখা থাকে।
যদি কখনো মোটরের kw থেকে কারেন্ট এর মান বের করতে চান তাহলে
থ্রি ফেজ এর জন্যঃ
I=kw/(root3*v*cos@)
সিঙ্গেল ফেজ এর জন্যঃ
I=kw/(*v*cos@)
এখন হিসাব করে দেখলেন এটা মোটরের নেমপ্লেটে লেখা মানের সাথে মিলে না।
মোটরের গায়ে যেটা লেখা থাকে সেটা ইনপুট পাওয়ার, এর সাথে ইফিসিয়েন্সি গুন করে আউটপুট পাওয়ার বের করে নিতে হয়। তারপর সেই পাওয়ার থেকে কারেন্ট উপরের সূত্রমতে করলে মিল পাবেন।

v  ফেজঃ মোটর টি সিঙ্গেল ফেজ না থ্রি ফেজ টা বুঝতে পারবেন এটা দেখে।
Ph-1 or ph-3 অথবা 3- @ এভাবে থাকতে পারে।

v  কারেন্টঃ
FLA -17A এভাবে লেখা থাকলে বুঝে নিতে হবে ফুল লোডে মোটর ১৭ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট নিবে।
অথবা ৫.৯/৩.৪ A এভাবেও থাকতে পারে তখন বুঝতে হবে ভোল্টেজ যেহেতু দুইরকম হতে পারে সে হিসেবে কারেন্ট ও দুইরকম হবে ভোল্টেজ অনুসারে।

v  ফুল লোড স্পিডঃ
এটি আরপিএম(RPM)  এ দেওয়া থাকে নেমপ্লেট এ।

ফুল লোডে থাকা অবস্থায় এক মিনিটে কতবার ঘুরবে সেটার সংখ্যাই বুঝানো হয়েছে। লেখা থাকেঃ

F/L RPM:2800
2800r/min

v  ইফিসিয়েন্সিঃ মোটর টার ইনপুট পাওয়ার কে কতটুকু দক্ষতার সাথে আউটপুট পাওয়ার কনভার্ট করছে সেটাই ইফিসিয়েন্সি শতকরায় দেওয়া থাকে
EFF: 85% 
NOM. EFF: 85%
এর দ্বারা বুঝা যায় মোটরটি তার ইনপুট পাওয়ার এর শতকরা ৮৫ভাগ আউটপুটে দিতে পারছে
মোটরের নেমপ্লেট যা থাকে সেটা ইনপুট
ধরি দেওয়া আছে ২৪kw  এর মোটর ।
ইফিসিয়েন্সি ৮৬%
তাহলে আউটপুটে পাওয়ার পাবঃ
 ২৪*০.৮৬ = ২০.৬৪০ কিলোওয়াট ।

v  পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
cos@- 0.86-0.97 এভাবে লেখা থাকে যেটা সেটা হল পাওয়ার ফ্যাক্টর।
এর দ্বারা বুঝা যায় আপাত পাওয়ার এর কতটুকু অ্যাক্টিভ পাওয়ার এ কনভার্ট হচ্ছে।
০.৯ হলে এটি আপাত পাওয়ার এর ৯০% অ্যাক্টিভ পাওয়ার এ কনভার্ট করছে।
যত বেশী হবে ততই ভালো।


v  সার্ভিস ফ্যাক্টরঃ এটিকে SF দ্বারা বুঝানো হয়ে থাকে।
মোটরটার তার সর্বোচ্চ পাওয়ার এর থেকে কতটুকু বেশী পাওয়ারে কাজ করতে পারবে তারই প্রমাণ।গুনিতক হিসেবে নেমপ্লেটে দেওয়া থাকে। তবে তা খুব অল্প সময়ের জন্য। এর মান ১ এর থেকে বড় হয়। যদি না দেওয়া থাকে তাহলে ১ ধরে নিতে হবে।
SF-1.15   এর দ্বারা বুঝা যায় মোটর তার নেমপ্লেটের KW এর ১৫% অধিক আউটপুট দিতে পারবে যদি ভোল্টেজ লেভেল বিলো টলারেন্স এ থাকে।

v  ডিউটিঃ মোটর টি একটানা কাজ করতে পারবে না বিরতি নিয়ে কাজ করবে সেটা বুঝা যাবে এর দ্বারা।
DUTY-CONT-  থাকলে একটানা কাজ করতে পারবে
অথবা S1 লেখা থাকতে পারে । এছাড়া সময় লেখা থাকে কতক্ষন একটানা কাজ করতে পারবে।


v  ইন্সুলেশন ক্লাসঃ INS-A,B,C,D,E,F,G,H দ্বারা বুঝানো হয়.
ইংরেজিতে যে অক্ষর পরে আসে তার ইন্সলেশন ক্লাস হাইয়ার হয়।
মানে H  এর ক্লাস সবচেয়ে বেশী কিন্তু F এর ক্লাস তার নিচে।
ক্লাস যত হাই হবে মোটর তত টেকসই হবে, voltage imbalance  রিকভার করতে পারবে তত দ্রুত।


stay tuned for part 2..

Difference between Power & Distribution Transformer

-----

Topic

Power Transformer

Distribution Transformer
Rating
Above 200MVA
Around 10KVA-500KVA
Flux density
Much higher
lower
Voltage level
400KV,230KV,110KV,66KV,33KV
11KV,6.6KV,3.3KV,400V,230V
Used for
Transmission purpose at heavy load
used for the distribution of electrical energy at low voltage
Efficiency Level
Approximately 98-99%
Around 50-70%
Used in
Power plant, transmission line, transmission substation
Local areas
Insulation Level
High
Lower than power Transformer
Core loss
Higher
lower
Copper loss
Relatively lower as not at the end of consumer
higher
Winding connection
Primary-star
Secondary-delta
Primary-delta
Secondary-star
Load
Fully loaded
Not fully loaded
Cooling system
ONAN,OFAF,ONWF,OFWF
Usually ONAN
Tap changer
On -load
Off-load
Protection
Buchholz relay,
Explosion vent pressure relief,
Temperature indicator
Oil gauge level
Lightening arrestor
HRC fuse
Over current relay
Buchholz relay
Need for voltage regulation
No need
Important factor

High Voltage Direct Current (HVDC) Transmission




বিদ্যুতকে অনেক দূরে পাঠানোর জন্য HVDC (High Voltage DC Transmission) ব্যাবহার করা হয় অনেক জায়গায় । ইন্ডিয়া Bahrampur থেকে বাংলাদেশ Bheramara তে প্রায় 500MW import করা হয়েছে এই HVDC ব্যবস্থায় । আমরা জানি এসি তে তিনটি কন্ডাক্টর লাগে কিন্তু HVDC তে মাত্র দুইটি কন্ডাক্টর দিয়েই এ কাজ করা যায় ।
যেহেতু এসি/ডিসি জেনারেটর উভয়ই এসি সাপ্লাই করে সেহেতু এই এসি কে থাইরিষ্টর কনভার্টার দিয়ে ডিসি তে নেয়া হয় । আবার গ্রহন প্রান্তে একই কনভার্টার ইউস করা হয়। এই মাধ্যমে কোন স্টেপআপ করা যায় না । এর Inductance + Capacitance+Power factor এর কোন সমস্যা নেই । ডিসি তে কোন স্কিন ইফেক্ট নেই ।

ছবিতেঃ

প্রথমে জেনারেটর থেকে উৎপন্ন হওয়া এসি  ভোল্টেজ-কে ট্রান্সফর্মার এর দ্বারা স্টেপ আপ করে পাঠানো হয় সুইচিং সাবস্টেশন এ যেটা এসিকে ডিসি তে কনভার্ট করে থাইরিষ্টর রেক্টিফায়ার দ্বারা অপর প্রান্তে পাঠানোর জন্যে উপযোগী করা হয়।
অপর প্রান্তে থাকা ইনভার্টার দ্বারা ডিসি কে এসি তে কনভার্ট করা হয়- রিসিভিং স্টেশন এ। সেটা ট্রান্সফর্মার দ্বারা স্টেপ ডাউন করে কনজ্যুমার দের কাছে পাঠানো হয়।

সহজে বুঝার জন্যঃ
 Suppose, আমি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করব। এখন যে ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে কাজটা করা হবে সেটাকে Back To Back transmission line বলে। ভারত আমাদের AC দিচ্ছে। আমরা ভেড়ামারা converting substation এ AC টু DC করছি। এরপর আবার DC টু AC করে গ্রিড এ দিচ্ছি। ভারত থেকে আসছে ৪০০ KV AC আমরা এখানথেকে ২৩০ KV করে গ্রিড এ দিচ্ছি। এখন হাই ভোল্টেজ ডি সি জেনারেট করা হয় কেন? কারণ,
১) আমরা জানি, কোন ট্রান্সমিশন লাইনে ফ্রিকুয়েন্সি, Reactance ফিক্স থাকেনা। উঠানামা করে। আর উঠানামার হার দুই দেশে ভিন্ন রকম। তাই এই ঝামেলা এড়াতে এটা ব্যবহার করা হয়
২) আর স্কিন ইফেক্ট এর ঝামেলা নেই।
৩) শুধুমাত্র দুটো তার ব্যবহার করেই HVDC ট্রান্সমিশন করা সম্ভব। 
৪) কম খরচেই ৭০০ কিমি পর্যন্ত এই লাইন ইন্সটল করা যায়।
এখন প্রশ্ন হল কেন আমরা এটা ব্যবহার করব???

----এসিতে প্রসেস করে তো খুব খারাপ হচ্ছে না,তাহলে??
লস কমাতে + কস্ট কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াঃ




খরচঃ

comparison of cost of hvdc and hvac

দেখাই যাচ্ছে খরচ অনেক কম আবার লাইন লস ও অনেক কম,কন্ডাক্টর ও কম লাগবে,I^2*R loss ও কম, বেশ নির্ভরযোগ্য এসির তুলনায়।।

 High Voltage Direct Current (HVDC) সিস্টেমে কারেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি শূণ্য থাকে বলে ট্রান্সমিশন লাইনে কোনো স্কিন ইফেক্ট বা প্রক্সিমিটি ইফেক্ট পড়ে না। 
 HVDC সিস্টেম বহুদূরে DC current কে পাঠনোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই সিস্টেমে কোনো ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয় না current চলাচল করার ক্ষেত্রে।


 যদিও বা কিছু কিন্ত আছে এখানেঃ


--অনেক জটিল  প্রসেস
-- একবার  ফেইল করলে প্রায় ১১০০ মেগাওয়াট এর ঘাটতি দেশের প্ল্যান্টগুলো সামলাতে পারবে না ফলে ব্ল্যাকআউট হবে দেশজুড়ে।
--অনিয়ন্ত্রিত পাওয়ার ফ্লো।
বাংলাদেশ-ভারত ব্যাক টু ব্যাক ট্রান্সমিশনঃ

বাংলাদেশ(ভেড়ামারা)- ভারত(বহরমপুর)
৪০০ কেভি লাইন
১০০০ মেগাওয়াট এই লাইন দ্বারা আর বাকি ১৬০মেগাওয়াট ত্রিপুরা লাইন দ্বারা আনা হয়।
লোড ফ্যাক্টরঃ ৮০-৯০%
ইন্ডিয়ান সাইডেঃ ৭১.৫কিমি
বাংলাদেশ সাইডেঃ ২৭.৩৫কিমি
প্রস্তুতকারকঃ সিমেন্স
পার ইউনিট কস্টঃ ৫.৩৪টাকা

আজ এ পর্যন্তই...



Transmission & Distribution voltage 11KV, 33KV, 66KV ও 132KV কেন হয়?

Transmission & Distribution voltage 11KV, 33KV, 66KV ও 132KV কেন হয়?
-----

Transmission & distribution voltage গুলো 11KV, 33KV, 66KV,132KV কেন হয়? কেন তারা 11 এর গুণিতক? কেন 10, 30, 60, 120 নয়??
------------- চলুন এর ব্যাখ্যা খুঁজি।
########    অনেকের ধারণা ফর্ম ফ্যাক্টর 1.11 হয় বলে, ভোল্টেজ প্যাটার্ন গুলো এরুপ হয়।
10 x 1.11 = 11.1  (Okay! It is approximately correct)
30 x 1.11 = 33.3
60 x 1.11 = 66.6 (Error! it is 66kV)
120 x 1.11 = 133.2 (A big error of about +1.2kV because it is 132kV as used)
বাস্তবে এ ধারণা সঠিক নয় কারণ 120 ভোল্ট কে 1.11 দিয়ে গুণ করলে 132KV আসছেনা।
আর ফর্ম ফ্যাক্টর হল RMS & Average value এর Ratio। 
                                        form factor = .707/.637 = 1.11

সেটা গুণ করার কোন মানে নেই। 

তাইলে সঠিক কোনটি??
তার আগে একটা উপমা দিই। 
----ধরুন, আপনি রাজশাহী থেকে ৫০০ আম চট্টগ্রামে পাঠানোর কন্টাক্ট পেলেন। তখন আপনি কি বরাবর ৫০০ আমই পাঠাবেন?? অবশ্যই নয়।
কারণ, পথিমধ্যে ছিনতাই হতে পারে কিংবা আম পচে যেতে পারে। তাই কিছু ব্যাক আপ রাখতে হবে। ৫০ টা বাড়তি দিতে হবে। একইভাবে পাওয়ার ট্রান্সমিশন /ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো আসল ভোল্টেজের থেকে ১০% অতিরিক্ত ভোল্টেজ প্রেরণ করে। কারণ, তারা ভালই জানে যে পথিমধ্যে সিস্টেম লস হবে।
এখন তাহলে আসুন হিসেব করলে দাঁড়ায়,
10 + 10 x 10% = 11 KV
30 + 30 x 10% = 33 KV
60 + 60 x 10% = 66 KV
120 + 120 x 10% = 132 KV
এখন অনেকের মাথাই প্রশ্ন ঘুরতেছে আমি খালি 10, 30, 60, 120 কেই হিসেবে আনতেছি কেন?
আমাদের দেশে মূলত জেনারেটিং & ডিস্ট্রিবিউশন স্টেশনগুলো এই ভোল্টেজ উৎপন্ন করে। পরবর্তীতে ব্যাক আপ সহ উক্ত ভোল্টেজগুলো প্রেরণ করে। হুম একটু কম বেশি হতেই পারে। তবে এ হিসাব অন এভারেজ।

ফর্ম ফ্যাক্টর মোটেই এর সাথে কোনভাবেই সম্পর্কিত নয়।

তাই 


"The generation companies tends to generate round figure voltages like 10kV, 20kV, 60kV, 120kV etc. But this huge voltage needs to be transmitted over huge distance. The overhead line through which the power will be transmitted has its own impedance which will cause a considerable amount of voltage drop. This drop as being calculated is near about 10% based on all Physical factors. That’s why generation companies add 10% more in their actual target which neutralizes the line losses and the receiving end gets the targeted result. So,
Net Voltage = Target Voltage + 10% of Target Voltage
→ 132kV = 120kV + 12kV (10% of 120kV)
→ 66kV = 60kV + 6kV
→ 11kV = 10kV + 1kV
ফলে দেখা যাচ্ছে ১০% এক্সট্রা করে নিয়ে হিসাব টি সহজেই মিলে যায় এবং এটিই বাস্তবে করা হয়ে থাকে।।

ইনফোঃ ইকবাল মাহমুদ ভাই+quora

Featured post

BPSC Preparation(Technical _9Th grade)

Electrometa-welcome here BPSC JOB Sector & Its preparation. প্রথমেই বলে নেই BPSC মানে বাংলাদেশ পাব্লিক সার্ভিস কমিশন, যাকে দেশের নাগর...

Popular Ones