বিদ্যুতকে অনেক দূরে পাঠানোর জন্য HVDC (High Voltage DC Transmission) ব্যাবহার করা হয় অনেক জায়গায় । ইন্ডিয়া Bahrampur থেকে বাংলাদেশ Bheramara তে প্রায় 500MW import করা হয়েছে এই HVDC ব্যবস্থায় । আমরা জানি এসি তে তিনটি কন্ডাক্টর লাগে কিন্তু HVDC তে মাত্র দুইটি কন্ডাক্টর দিয়েই এ কাজ করা যায় ।
যেহেতু এসি/ডিসি জেনারেটর উভয়ই এসি সাপ্লাই করে সেহেতু এই এসি কে থাইরিষ্টর কনভার্টার দিয়ে ডিসি তে নেয়া হয় । আবার গ্রহন প্রান্তে একই কনভার্টার ইউস করা হয়। এই মাধ্যমে কোন স্টেপআপ করা যায় না । এর Inductance + Capacitance+Power factor এর কোন সমস্যা নেই । ডিসি তে কোন স্কিন ইফেক্ট নেই ।
ছবিতেঃ
প্রথমে জেনারেটর থেকে উৎপন্ন হওয়া এসি ভোল্টেজ-কে ট্রান্সফর্মার এর দ্বারা স্টেপ আপ করে পাঠানো হয় সুইচিং সাবস্টেশন এ যেটা এসিকে ডিসি তে কনভার্ট করে থাইরিষ্টর রেক্টিফায়ার দ্বারা অপর প্রান্তে পাঠানোর জন্যে উপযোগী করা হয়।
অপর প্রান্তে থাকা ইনভার্টার দ্বারা ডিসি কে এসি তে কনভার্ট করা হয়- রিসিভিং স্টেশন এ। সেটা ট্রান্সফর্মার দ্বারা স্টেপ ডাউন করে কনজ্যুমার দের কাছে পাঠানো হয়।
সহজে বুঝার জন্যঃ
Suppose, আমি ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করব। এখন যে ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে কাজটা করা হবে সেটাকে Back To Back transmission line বলে। ভারত আমাদের AC দিচ্ছে। আমরা ভেড়ামারা converting substation এ AC টু DC করছি। এরপর আবার DC টু AC করে গ্রিড এ দিচ্ছি। ভারত থেকে আসছে ৪০০ KV AC আমরা এখানথেকে ২৩০ KV করে গ্রিড এ দিচ্ছি। এখন হাই ভোল্টেজ ডি সি জেনারেট করা হয় কেন? কারণ,
১) আমরা জানি, কোন ট্রান্সমিশন লাইনে ফ্রিকুয়েন্সি, Reactance ফিক্স থাকেনা। উঠানামা করে। আর উঠানামার হার দুই দেশে ভিন্ন রকম। তাই এই ঝামেলা এড়াতে এটা ব্যবহার করা হয়
২) আর স্কিন ইফেক্ট এর ঝামেলা নেই।
৩) শুধুমাত্র দুটো তার ব্যবহার করেই HVDC ট্রান্সমিশন করা সম্ভব।
৪) কম খরচেই ৭০০ কিমি পর্যন্ত এই লাইন ইন্সটল করা যায়।
এখন প্রশ্ন হল কেন আমরা এটা ব্যবহার করব???
----এসিতে প্রসেস করে তো খুব খারাপ হচ্ছে না,তাহলে??
লস কমাতে + কস্ট কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াঃ
খরচঃ
দেখাই যাচ্ছে খরচ অনেক কম আবার লাইন লস ও অনেক কম,কন্ডাক্টর ও কম লাগবে,I^2*R loss ও কম, বেশ নির্ভরযোগ্য এসির তুলনায়।।
High Voltage Direct Current (HVDC) সিস্টেমে কারেন্টের ফ্রিকোয়েন্সি শূণ্য থাকে বলে ট্রান্সমিশন লাইনে কোনো স্কিন ইফেক্ট বা প্রক্সিমিটি ইফেক্ট পড়ে না।
HVDC সিস্টেম বহুদূরে DC current কে পাঠনোর জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই সিস্টেমে কোনো ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয় না current চলাচল করার ক্ষেত্রে।
যদিও বা কিছু কিন্ত আছে এখানেঃ
--অনেক জটিল প্রসেস
-- একবার ফেইল করলে প্রায় ১১০০ মেগাওয়াট এর ঘাটতি দেশের প্ল্যান্টগুলো সামলাতে পারবে না ফলে ব্ল্যাকআউট হবে দেশজুড়ে।
--অনিয়ন্ত্রিত পাওয়ার ফ্লো।
বাংলাদেশ-ভারত ব্যাক টু ব্যাক ট্রান্সমিশনঃ
বাংলাদেশ(ভেড়ামারা)- ভারত(বহরমপুর)
৪০০ কেভি লাইন
১০০০ মেগাওয়াট এই লাইন দ্বারা আর বাকি ১৬০মেগাওয়াট ত্রিপুরা লাইন দ্বারা আনা হয়।
লোড ফ্যাক্টরঃ ৮০-৯০%
ইন্ডিয়ান সাইডেঃ ৭১.৫কিমি
বাংলাদেশ সাইডেঃ ২৭.৩৫কিমি
প্রস্তুতকারকঃ সিমেন্স
পার ইউনিট কস্টঃ ৫.৩৪টাকা
আজ এ পর্যন্তই...
No comments:
Post a Comment