মোটরের নেমপ্লেট
সমগ্র পার্ট-১
আজকে আমরা জানব
মোটরের নেমপ্লেট এর কি কি তথ্য দেওয়া থাকে ,কিভাবে একটি ভালো মানের মোটর কিনতে
পারব, কতক্ষন এটি একনাগাড়ে চলতে পারবে ইত্যাদি সম্পর্কে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া
যাকঃ
পুরো বিষয়টি আমরা
দুই পার্টে জানব ,কেনোনা অনেক বড় টপিক।
যে যে বিষয়গুলো আমি
হাইলাইট করব সেগুলো হলঃ
১০ টি আজকে ব্যাখ্যা করবঃ
v ভোল্টেজঃ এটি কত ভোল্টেজ এ অপারেট করবে তা দেওয়া থাকে।
230Δ/400Y
(13.6A/7.8A) এভাবে
লেখা থাকে
নেমপ্লেট এ।
দুইরকম ভোল্টেজ
এ চালানো
যাবে, ডেল্টায়
২৩০ ভোল্টেজ
এ কারেণ্ট
নিবে ১৩.৬ অ্যাম্পিয়ার
এবং স্টার
কানেকশন এ
৪০০ ভোল্টেজ
এ কারেন্ট
নিবে ৭.৮ অ্যাম্পিয়ার।
v
পাওয়ারঃ
এটি kw অথবা
hp তে
লেখা থাকে।
যদি
কখনো মোটরের kw
থেকে কারেন্ট এর মান বের করতে চান তাহলে
থ্রি
ফেজ এর জন্যঃ
I=kw/(root3*v*cos@)
সিঙ্গেল
ফেজ এর জন্যঃ
I= kw/(*v*cos@)
এখন
হিসাব করে দেখলেন এটা মোটরের নেমপ্লেটে লেখা মানের সাথে মিলে না।
মোটরের
গায়ে যেটা লেখা থাকে সেটা ইনপুট পাওয়ার, এর সাথে ইফিসিয়েন্সি গুন করে আউটপুট
পাওয়ার বের করে নিতে হয়। তারপর সেই পাওয়ার থেকে কারেন্ট উপরের সূত্রমতে করলে মিল
পাবেন।
v
ফেজঃ মোটর টি সিঙ্গেল ফেজ না থ্রি ফেজ টা বুঝতে পারবেন এটা
দেখে।
v
কারেন্টঃ
FLA -17A এভাবে লেখা থাকলে বুঝে নিতে হবে ফুল লোডে
মোটর ১৭ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট নিবে।
অথবা
৫.৯/৩.৪ A এভাবেও থাকতে পারে তখন
বুঝতে হবে ভোল্টেজ যেহেতু দুইরকম হতে পারে সে হিসেবে কারেন্ট ও দুইরকম হবে ভোল্টেজ
অনুসারে।
v ফুল লোড স্পিডঃ
এটি আরপিএম(RPM) এ দেওয়া থাকে নেমপ্লেট এ।
ফুল
লোডে থাকা অবস্থায় এক মিনিটে কতবার ঘুরবে সেটার সংখ্যাই বুঝানো হয়েছে। লেখা থাকেঃ
F/L RPM:2800
2800r/min।
2800r/min।
v ইফিসিয়েন্সিঃ মোটর টার ইনপুট পাওয়ার কে কতটুকু দক্ষতার সাথে আউটপুট পাওয়ার এ কনভার্ট করছে সেটাই ইফিসিয়েন্সি। শতকরায় দেওয়া থাকে ।
EFF: 85%
NOM. EFF: 85%
এর দ্বারা বুঝা যায় মোটরটি তার ইনপুট পাওয়ার এর শতকরা ৮৫ভাগ আউটপুটে দিতে পারছে।
মোটরের নেমপ্লেট এ যা থাকে সেটা ইনপুট।
ধরি দেওয়া আছে ২৪kw এর মোটর ।
ইফিসিয়েন্সি
৮৬%
তাহলে
আউটপুটে পাওয়ার পাবঃ
২৪*০.৮৬ = ২০.৬৪০ কিলোওয়াট ।
v পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
cos@- 0.86-0.97 এভাবে লেখা থাকে যেটা সেটা হল পাওয়ার ফ্যাক্টর।
০.৯
হলে এটি আপাত পাওয়ার এর ৯০% অ্যাক্টিভ পাওয়ার এ কনভার্ট করছে।
যত
বেশী হবে ততই ভালো।
v সার্ভিস ফ্যাক্টরঃ এটিকে SF দ্বারা বুঝানো হয়ে থাকে।
মোটরটার
তার সর্বোচ্চ পাওয়ার এর থেকে কতটুকু বেশী পাওয়ারে কাজ করতে পারবে তারই
প্রমাণ।গুনিতক হিসেবে নেমপ্লেটে দেওয়া থাকে। তবে তা খুব অল্প সময়ের জন্য। এর মান ১
এর থেকে বড় হয়। যদি না দেওয়া থাকে তাহলে ১ ধরে নিতে হবে।
SF-1.15 এর দ্বারা বুঝা যায় মোটর তার নেমপ্লেটের
KW এর ১৫% অধিক আউটপুট দিতে
পারবে যদি ভোল্টেজ লেভেল বিলো টলারেন্স এ থাকে।
v ডিউটিঃ মোটর টি একটানা কাজ করতে পারবে না বিরতি
নিয়ে কাজ করবে সেটা বুঝা যাবে এর দ্বারা।
DUTY-CONT- থাকলে একটানা কাজ করতে পারবে।
অথবা S1 লেখা থাকতে পারে । এছাড়া সময় লেখা থাকে কতক্ষন একটানা কাজ করতে পারবে।
v ইন্সুলেশন ক্লাসঃ INS-A,B,C,D,E,F,G,H দ্বারা
বুঝানো হয়.
ইংরেজিতে
যে অক্ষর পরে আসে তার ইন্সলেশন ক্লাস হাইয়ার হয়।
মানে H এর ক্লাস সবচেয়ে বেশী কিন্তু F এর ক্লাস তার নিচে।
ক্লাস
যত হাই হবে মোটর তত টেকসই হবে, voltage imbalance রিকভার করতে পারবে তত দ্রুত।
stay tuned for part 2..
No comments:
Post a Comment