Showing posts with label POWER SECTOR OVERVIEW. Show all posts
Showing posts with label POWER SECTOR OVERVIEW. Show all posts

পাওয়ার সেক্টর সমগ্র (100টি প্রশ্নউত্তর)

Electrometa-welcome here
    
আপডেটেড অন ৮/৫/২০২০                                              



১০০ টি তথ্যঃ

1.       মোট উৎপাদন ক্ষমতাঃ ২২,৭৮৭মেগাওয়াট

2.      দৈনিক মোট উৎপাদনঃ ১০,০০০-১২,০০০মেগাওয়াট

3.     এযাবত সর্বোচ্চ উৎপাদিত হয়েছেঃ ১২,৮৯৩মেগাওয়াট

4.       মোট পাওয়ার প্ল্যান্টঃ ১৩৭টি

5.       মোট ডিস্ট্রিবিউশন লসঃ ৯.৩৫%

6.       মোট ট্রান্সমিশন লস: ২.৮৫%

7.       সবচেয়ে বড় পাওয়ার প্ল্যান্টঃ আশুগঞ্জ

8.       বড়পুকুরিয়া কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটিঃ ৫২৫ মেগাওয়াট

9.       রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কোনটিঃ ইউরেনিয়াম-২৩৫

10.  রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি সাপ্লাইয়ারঃ রাশিয়া

11.  একবার জ্বালানি দিয়ে কত বছর চলবে রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ ৬০ বছর

12.   ২য় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় হবেঃ হিজলা, বরিশাল

13.   CCPP কি?- কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট

14.   সবচেয়ে কম খরচে কোন জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়ঃ প্রাকৃতিক গ্যাস, ২.৮টাকা

15.   ভারত থেকে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ নিয়ে আসা হয়ঃ ১১৬০মেগাওয়াট

16.   শীতকালে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা কতঃ মোট চাহিদার ৫০-৬০%

17.   কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ঃ সিলেট

18.   কোন অঞ্চলে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ঃ রংপুর

19.   কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোন গ্রেডের কয়লা ব্যবহার করা হয়ঃ বিটুমিনাস/সাব-বিটুমিনাস

20.   ডিস্ট্রিবিউশন প্রতিষ্ঠান কয়টিঃ ৬টি

21.   আরইবি আর পিবিএস কি একঃ না

22.  পিবিএস কয়টিঃ ৮০ টি

23. HSD কীঃ HIGH SPEED DIESEL

24.  HFO কী: HEAVY FUEL OIL

25. সবচেয়ে বেশী পাওয়ার জেনারেট করা হয় কোন জ্বালানি দিয়ে? –প্রাকৃতিক গ্যাস(৬৩%)

26. বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুৎয়িত হবেঃ ২০২১ সালে

27. মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনঃ ৫১০ কিলোওয়াট আওয়ার

28.                 জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ক্ষমতাঃ ১টি, ২৩০মেগাওয়াট

29. ৪০০ লেভি লাইন কয়টিঃ ৬টি

30. ৭৬৫ কেভি লাইন কোথায় হচ্ছেঃ ভুলতা

31. রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটিঃ১৩২০ মেগাওয়াট

32. মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটিঃ ১২০০ মেগাওয়াট

33. পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটিঃ ১৩২০ মেগাওয়াট

34. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটিঃ ২*১২০০= ২৪০০ মেগাওয়াট

35. প্রথম ইউনিট উৎপাদনে যাবেঃ ২০২৩ সাল

36. দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাবেঃ ২০২৪ সাল

37. ২০২১ সালের মধ্যে বায়ুকল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের লক্ষ্যমাত্রাঃ ১৩৭০মেগাওয়াট

38. রিনিউয়েবল সোর্স থেকে  বিদ্যুৎ উৎপাদনঃ ৬২৮মেগাওয়াট

39. রিনিউয়েবল সোর্স থেকে  বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাঃ মোট ক্ষমতার ১০%

40. কুইক রেন্টাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনঃ ১৮৯০মেগাওয়াট

41. বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীঃ ৯৬%

42.  মোট ট্রান্সমিশন লাইনঃ ১২,১১৯ সার্কিট কিমি

43. বিতরণ লাইনঃ ৫লক্ষ ৬০ হাজার কিমি

44. গ্রাহক  সংখ্যাঃ ৩ কোটি ৬৪ লক্ষ

45. বাংলাদেশের বিদ্যুতের ফ্রিকুয়েন্সীঃ ৫০হার্জ

46. পিক লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট কীঃ পিক টাইমে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্যে যেসকল প্ল্যান্ট চালানো হয়

47. অফ পিক ও অন পিক বিদ্যুৎ চাহিদা কতঃ 7000/11000MW

48. দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র কোথায়ঃ জল্কুড়ি, নাঃগঞ্জ(৩ মেগাওয়াট)

49. ১ম HVDC সাবস্টেশনঃ ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া

50. ২য় HVDC সাবস্টেশনঃ দেবপুর, কুমিল্লা

51. সবচেয়ে দীর্ঘতম ট্রান্সমিশন লাইনঃ KHULNA-VERAMARA(353CKT KM)

52. হাই জেনারেশন , লো ডিমান্ড এরিয়াঃ সিলেট

53. লো জেনারেশন, হাই ডিমান্ড এরিয়াঃ রংপুর

54. সাবস্টেশন থেকে সাবস্টেশনে যোগাযোগের মাধ্যমঃ SCADA+PLCC

55. SCADA: SUPERVISORY CONTROL & DATA ACQUISITION

56. SREDA: SUSTAINABLE AND RENEWABLE ENERGY DEVELOPMENT AUTHORITY

57. NLDC: NATIONAL LOAD DISPATCH CENTRE

58. গ্রিডে ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাঃ ১৬,০০০ মেগাওয়াট

59. ইন্টারকানেক্টেড গ্রিড সংখ্যাঃ ১টি

60. ২০২১ সালে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাঃ ২৪,০০০ মেগাওয়াট

61. ২০৩০ সালে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাঃ ৪০,০০০ মেগাওয়াট

62. ২০৪০ সালে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাঃ ৬০,০০০ মেগাওয়াট

63. LNG  টার্মিনাল কোথায় হবেঃ মহেশখালী

64. পাওয়ার হাবঃ মহেশখালী, আশুগঞ্জ, পায়রা,ভেড়ামারা, মাতারবাড়ী

65. যমুনা নদীর উপর দিয়ে যে লাইন গেছে তার ভোল্টেজ কতঃ ২৩০ কেভি

66. ভারত থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুতের দামঃ ৫টাকা ৩৪ পয়সা

67. নেক্সট যেসব দেশ হতে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবেঃ নেপাল, ভূটান

68. পিকিং পাওয়ার প্লান্ট কি ২৪ঘন্টা চলেঃ না, পিক টাইমে চলে

69. সবচেয়ে বেশী পাওয়ার প্ল্যান্ট কোন জোনেঃ ঢাকা জোনে, ৩৯ টি

70. সবচেয়ে কম পাওয়ার প্ল্যান্ট কোন জোনেঃ রংপুর, ময়মনসিংহ, ৭ টি করে

71. সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যাণ্টঃ ২৮ মেগাওয়াট,হিনলা, টেকনাফ

72. প্রথম আইসোলেটেড গ্রিডঃ হাতিয়া, নোয়াখালী

73. দেশের প্রথম বায়ুকলঃ সোনাগাজী, ফেনী

74. দেশের ২য় বায়ুকলঃ কুতুবদিয়া, কক্সবাজার

75. সাবস্টেশনে কত ভোল্টের ডিসি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়ঃ ১১০ ভোল্ট ডিসি

76. আপকামিং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পঃ সাঙ্গু নদী(১৪০মেগাওয়াট), মাতামুহুরি নদী(৭৫মেগাওয়াট)

77. পার ইউনিট সোলার কস্টঃ ১৬.১৪টাকা

78. পার ইউনিট কয়লা কস্টঃ ৭.৩৮ টাকা

79. পার ইউনিট গ্যাস কস্টঃ ২.৮ টাকা

80. পার ইউনিট ফার্নেস ওয়েল কস্টঃ ১১.৪৮ টাকা

81. পার ইউনিট জলবিদ্যুৎ কস্টঃ ১.৩২টাকা

82. কয়লা আমদানি করা হয় মূলতঃ ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া

83. দেশের প্রথম গ্যাস ইন্সুলেটেড সাবস্টেশন : ধানমন্ডি

84. ওয়েভ ট্রাপ কোথায় ব্যবহার করা হয়ঃ PLCC

85.  বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জেনারেটিং ভোল্টেজঃ ২২.০৫কেভি(আশুগঞ্জ)

86. ১ মেগাওয়াটে কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা চালাতে কয়লা লাগেঃ ১০ টন

87. COD: COMMERCIAL OPERATION DATE

88. DCT: DEPENDABLE CAPACITY TEST

89. RRT: RELIABILITY RUN TEST

90. পীক আওয়ারঃ বিকাল ৫ টা থেকে-রাত ১১টা

91. অফপিক আওয়ারঃ রাত ১১টা থেকে বিকাল ৫ টা

92. ট্রান্সমিশন লাইনে যে কন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়ঃ ACCC/ACSR

93.  একটি ৪০০ কেভি লাইনে ডিস্ক ইন্সুলেটর লাগে ঃ ২১ টি

94. গ্রিড রিংঃ ২ টি,ঢাকা, চট্টগ্রাম

95. আপকামিং সর্ববৃহত সুইচিং সাবস্টেসনঃ গোপালগঞ্জ

96. ব্রাউনআউট কিঃ পাওয়ার ঠিক থাকার পরেও ভোল্টেজের  আপডাউন করলে

97. ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে কয়টি তার থাকেঃ ৫/৬টি

98. SUBSTATION –SUBSTATION যোগাযোগের জন্যেঃ OPTICAL GROUND WIRE

99. PGCB কার কাছে অপটিক ফাইবারের ব্যান্ডউইথ বিক্রি করেঃ জিপি সহ টেলিকম সেক্টর

100.  ট্রান্সফর্মার ওয়েলের বাণিজ্যিক নামঃ পাইরানল

 

source: powercell.gov.bd

source: bpdb.gov.bd

ALL RIGHTS RESERVED BY ELECTROVOLT


BD POWER SYSTEM ALL IN ONE

Electrometa-welcome here::::::::::::::::::::::::::::



TOTAL GENERATION CAPACITY AT PRESENT: 21,629 MW(SEPT-2019)

1ST ELECTRICITY USED IN BD: AHSAN MANZIL ,1901

ELECTRICITY ACT FOLLOWED: 2018

HIGHEST GENERATED ELECTRICITY:12,893MW(29-5-2019)

ELECTRICITY IMPORTED FROM INDIA: 1197MW(2*500+197)

QUICK RENTAL PP: 1890MW

BIGGEST SOLAR POWER PLANT: 28MW, HNILA OF TEKNAF

TOTAL DISTRIBUTION LINE: 4,89,000CKT KM

TRANSMISSION LINE: 11,650CKT KM

TOTAL POWER PLANT: 145+

GRID SUBSTATION: 131

CONDUCTOR USED IN TRANSMISSION LINE: ACSR WITH OPTICAL FIBRE

SYSTEM LOSS: 11.96%

DISTRIBUTION LOSS: 9.60%

MAIN SOURCE OF FUEL: GAS(66%)

BIGGEST POWER PLANT: APSCL(1876MW)

HEART OF SUBSTATION: DC BACKUP

1ST HVDC SUBSTATION: VERAMARA

2ND HVDC SUBSTATION: DEBPUR,  COMILLA (500MW)

RAMPAL COAL PP: 1320 MW

MATARBARI ULTRA SUPER CRITICAL PP: 1200 MW

PAYRA THERMAL PP: 1320MW

COAL FIRED PP: BARAPUKURIA PP(525MW)

1ST NUCLEAR PP: RUPPUR NPP(2*1200MW)

2ND NPP: BARISAL (yet TO BE CONFIRMED)

400KV TRANSMISSION LINE: VERAMARA-INDIA

LARGEST TRANSMISSION LINE: KHULNA -VERAMARA(353CKT KM)

UNDER CONSTRUCTION LONGEST TRANSMISSION LINE: 700CKT KM( MOHESHKHALI- VULTA)

UNDER CONSTRUCTION 765KV TRANSMISSION LINE:

 MATARBARI (COX'S BAZAR)- VULTA (DHAKA)
BORONAGAR (INDIA)- PARBATIPUR

1ST ISOLATED GRID: HATIYA, NOAKHALI

NLDC SITUATED IN: AFTABNAGAR, RAMPURA, DHAKA

PER CAPITA ELECTRICITY CONSUMPTION: 510 KWh

HYDRO POWER PLANT: KAPTAI HYDRO POWER PLANT(230MW)

WASTE MANAGEMENT POWER PLANT: N.GANJ (3MW)

TOTAL UNIT RUNNING COUNTRYWIDE: 143+

UPCOMING HYDRO PP: SANGU RIVER(140MW), MATAMUHURI RIVER (75MW)

COUNTRY 1ST WIND POWER PLANT: SONAGAJI, FENI

100% POWER COVERAGE AREA: 340UPZILLA



COUNTRY 2ND WIND POWER PLANT: KUTUBDIYA, COX'S BAZAR



WASTE TO ENERGY TREATMENT PLANT: JALKURI, NARAYANGANJ (3MW)



FUEL SUPPLIER IN RNPP: TVEL FUEL COMPANY (RUSSIA)



PALLI BIDDUT SAMITI(PBS): 80


POWER HUB: ASUGANJ, SIDDHIRGANJ, PAYRA, SIRAJGANJ, MATARBARI, MODUNA.



LARGEST POWER HUB: MOHESHKHALI, 15 POWER PLANT IN A ZONE



HIGH GENERATION , LOW DEMAND AREA: SYHLET

LOW GENERATION HUGH DEMAND AREA: RANGPUR



NOTABLE GENERATION COMPANY:

 EGCB, RPCL ,BPDB  , APSCL ,BCMCL, KPCL,NWPGCL,WZPDCL, SUMMIT POWER, ORION,UNITED GROUP, SINHA GROUP etc.



TRANSMISSION COMPANY: PGCB



DISTRIBUTION COMPANY: DPDC,DESCO,PDB, NWPGCL,WZPDCL



FUEL TYPE: GAS, COAL, WIND, SOLAR, WASTE MANAGEMENT, HYDRO, HFO, HSD, LFO, OIL etc.



VOLTAGE LEVEL IN BD: 11-18KV, 33KV, 132KV, 220KV, 400KV.



COMMUNICATION MEDIUM SUBSTATION  to SUBSTATION: SCADA,PLCC


PER UNIT COST OF ELECTRICITY BY FUEL:



hydro- 1.32tk


gas: 2.8tk


coal: 7.38tk


furnace oil : 11.48tk


diesel: 19.30tk


 solar: 16.14tk


power imported from india: 5.94tk



MATARBARI PP PRODUCTION COST: 13TK/UNIT



ELECTRICITY COVERAGE: 93%

RENEWABLE POWER


CURRENT SITUATION

2041 PLAN




Power Blackout: অন্ধকারে নিমজ্জিত দেশ

Electrometa-welcome here


ব্ল্যাক আউট: 

আমাদের দেশে ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে সারাদেশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। টানা ১২ ঘণ্টা পুরো দেশে বিদ্যু
ছিল না। দেশজুড়ে এই ভয়াবহ বিদ্যুবিপর্যয় ব্ল্যাক আউট নামে পরিচিত।

২০০৭-এর পর এতো বড় বিদ্যুত্‍ বিপর্যয় হয়নি বাংলাদেশে। সে বছর একটি শক্তিশালী সাইক্লোনের জেরে ন্যাশনাল গ্রিড খারাপ হয়ে যায়। অন্ধকার হয়ে যায় গোটা দেশ।

২০১৪ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হল ২০১৪ সালের একটি শিল্প বিপর্যয়, যেটিতে সারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, যা বাংলাদেশ সময় নভেম্বর ১-এর সকাল ১১.৩০ থেকে নভেম্বর ২-এর মাঝ রাত পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই বিপর্যয়টি বিশ্বের অনেক বড় ও ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়সমূহের মধ্যেতে ১টি বড় যাতে ১৫কোটি নাগরিকরা আক্রান্ত হন।

প্রথমতঃ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৯টি, নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬টি ইউনিটই বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভেড়ামায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ত্রুটির কারণে সবকটি ইউনিটে একযোগে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়। কুষ্টিয়া থেকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান জানান, বেলা ১১টা ২৯ মিনিটে ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ এলাকায় জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর "ব্ল্যাক আউট" বা "বিদ্যুৎ বিপর্যয়" হয়। ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সরবরাহ লাইনের সংযোগস্থলে ক্রুটি দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

একটি দেশের গ্রীড সিস্টেমকে জাতীয় গ্রীড বলা হয়। আর জাতীয় গ্রীড সাধারনত ইনফাইনেট (Infinate) বাস হয়। যে বাসের ভোল্টেজ বা ফ্রিকুয়েন্সি লোড বৃদ্ধির কারনে বৃদ্ধি পায়না, সেটাকেই ইনফাইনেট বাস বলে। আমাদের দেশের বানিজ্যিক ফ্রিকুয়েন্সি ৫০ হার্টজ। কোন কারনে যেন এটা না কমে, সেজন্যই প্রতিটি দেশেই ইনফাইনেট বাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটা দেশের গ্রীড সিস্টেম বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্টের সাথে সংযুক্ত। এছাড়া অন্য দেশের গ্রীড সিস্টেম বা লাইনের সাথেও যুক্ত থাকে। এখন যদি আপনি পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া হঠাৎ করে অন্য দেশের গ্রীড বন্ধ করে েন, তাহলে ফুল লোডের চাপ জাতীয় গ্রীডের উপর পরে। হঠাৎ করে লোড অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ফ্রিকুয়েন্সি কমে যায়। আমদের জেনারেটর এমন ভাবে সংযোগ করা থাকে, যেন নির্দিষ্ট ফ্রিকুয়েন্সির নিচে নামলেই জেনারেটর অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। এমনটাই হয়েছিল সেদিন। হঠাৎ লোড বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে ফ্রিকুয়েন্সি কমে যায়। তাই পাওয়ার প্লান্টের জেনারেটর গুলো অটোমেটিক বন্ধ হতে থাকে। যেহেতু সব জেনারেটর গ্রীডের মাধ্যমে ইন্টারকানেক্ট, তাই আস্তে আস্তে সমগ্র বাংলাদেশেরই পাওয়ার কাট হয়ে যায়।
তাই কখনোই হঠাৎ করে লোড না কমিয়ে পাওয়ার কাট করা হয়না। সাধারন তথ্য মতে ভারতীয় গ্রীড অংশে হঠাৎ করে লাইন অফ করে দেওয়ার কারনে এমনটি ঘটেছিল।


 কোথাও গ্রীড থেকে দ্রুত বিদ্যুত্ কমিয়ে ফেললে অন্যান্য নিয়ন্ত্রণ সেন্টারগুলোতে কারেন্ট সরবরাহে দ্রুত লোড ম্যানেজ (সরবরাহে Re-configure করা) করতে হয়। না হলে যে অসাম্য প্রবাহ সৃষ্টি হয় তাতে প্রতিটি প্লান্টে মটর উল্টাদিকে ঘুরতে শুরু করে এবং প্লান্টের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেটা রোধ করতে প্রতিটি প্লান্টে সেফটি সার্কিট ব্রেকার থাকে যা প্লান্টকে রক্ষা করতে গিয়ে ট্রিপ করে বা আপনা থেকে প্লান্টকে বন্ধ করে দেয়। এরকম পরিস্থিতিতে প্লান্ট বন্ধ না হলে ফোর্স শাট ডাউন দিতে হয়। ন্যাশনাল গ্রীড থেকে প্লান্টকে বিচ্ছিন্ন করে প্লান্ট চালু রাখার পদ্ধতি আছে। সেটা করতে গেলে প্লান্ট থেকে বিদ্যুত্ হঠাত্ আঞ্চলিক গ্রীডে সরবরাহ দেয়া যায়। তাতে বড় আকারের প্লান্ট হলে তার বিদ্যুত্ সরবরাহ ব্যবস্থায় দ্রুত কনফিগার করতে হয়, না হলে অসাম্য সৃষ্টি হয়ে যাবে। সেরূপ পরিস্থিতিতে প্লান্ট ট্রিপ করানো বা বন্ধ করা উত্তম পন্থা মনে করে। ছোট খাট প্লান্ট বন্ধ হলে বা হঠাত্ চালু করলে এরকম কোন সমস্যা হয় না। এখনকার দিনে এরূপ পরিস্থিতি দ্রুত ম্যানেজ করার সেফটি ব্যবস্থা ও দ্রুত রি-কনফিগার করার ব্যবস্থা অনেক দেশে করা হয়েছে। ন্যাশনাল গ্রীডের ক্যাপাসিটি আমাদের দেশে ২৩০ ও ১৩২ কেভিএ লাইন। সেটা অনেক দেশেই ৪০০ কেভিএ। বাংলাদেশে ৪০০ কেভিএ করা হচ্ছে।

কারণঃ
এসব ব্লাক আউট কীজন্য হয়। দি এডিশন ইলেক্ট্রিক ইনষ্টিটিউট বলে একটি আমেরিকান সংস্থা তাদের গবেষণায় বলেছে, ব্লাক আউট এর ৭০% ঘটে প্রকৃতিগত কারণে। ১১% ঘটে বড় কোন পাখি, কোন পিলারের বা গাছ পড়ে বা হিউম্যান এর কারণে। বাকিটা টেকনিক্যাল কারণে।
কোন কোন দেশে একাধিক গ্রীড থাকলেও প্রধানত একটি গ্রীডই সব দেশে থাকে। এর
সাথে সকল উত্পাদন প্লান্টগুলো প্যারালালি কানেকটেড থাকে।

বিভিন্ন প্লান্টে বিদ্যুত্ উত্পাদন যা হয় তা জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ হয়। সেটা এক মহানদীর মত। সেখান থেকে বিভিন্ন সাব-ষ্টেশন এর বিশাল ট্রান্সফরমার দ্বারা প্রয়োজনমত বিদ্যুত্ প্রবাহ নেয়া হয়। প্রধান লাইনগুলো থাকে ২৩০ কেভি লাইনের, থাকে ১৩২ কেভি লাইনের। এখন জাতীয় গ্রীড লাইন ৪০০ কেভির করা হচ্ছে। যদিও এখন যা বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছে তার কয়েকগুণ বিদ্যুত্ সরবরাহেও জাতীয় গ্রীডের বিদ্যমান লাইন পর্যাপ্ত। জাতীয় গ্রীড থেকে ১৩২ কেভি বা ৩৩ কেভি বা ১১ কেভি লাইন দ্বারা আঞ্চলিক প্রবাহ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়। গ্রাহক পর্যায়ে ৪২০ ভোল্ট বা ২২০ ভোল্ট লাইন থেকেও বিদ্যুত্ দেয়া হয়। বড় গ্রাহক বলে ১১ কেভি লাইন থেকে দেয়া হয়। এই পুরো ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থাটি পরস্পরের সাথে যুক্ত। এখানে কোথাও ব্যবহার কমে গেলে সেখান বিদ্যুত্ সরিয়ে যেখানে ব্যবহার বেশি সেখানে নেয়া হয়। কখনো ব্যবহার কমলে কোন কোন প্লান্ট বন্ধ রাখা হয়। পিক আওয়ারে ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকলে পিকিং প্লান্টগুলো চালু করা হয়।

 ব্যবহার ও সরবরাহে বিশাল কোন তারতম্য ঘটলে সেখানে ফ্রিক্যুয়েন্সিতে বড় হেরফের হলে প্লান্টের ক্ষতি হবে। তখন কোন কোন লাইন ও প্লান্টকে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সেফটি সার্কিট ব্রেকার অফ হয়ে যাবে।

গ্রীড ফেইল করলেও তা দ্রুত কার্যকর করাও একটি বড় কাজ। প্রত্যেকটি জেনারেটিং ইউনিট চালু করতেও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুত্ লাগে। যেমন তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোতে পানি গরম করে তার বাষ্প দ্বারা ম্যাগনেটিক হুইল ঘুরিয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন করা হয়। সে পর্যন্ত যেতে অনেক মটর চালু করতে হবে। 

সে বিদ্যুতের ব্যবস্থাটি উক্ত প্লান্টে আলাদা ডিজেল জেনারেটরে থাকতে হয়। পানি বিদ্যুতের সে হুইলটি ঘুরায় পানির চাপ দ্বারা। সেজন্য সেটা ট্রিপ করলে দ্রুত চালু করা সম্ভব। কিন্তু তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রে দীর্ঘদিন এক নাগাড়ে চললে ব্যাক আপ জেনারেটর চালানোর জন্য তা তৈরি থাকে না অনেক সময়, তার ড্রাইভারকেও খুঁজে পেতে বিলম্ব হয়।

 সেজন্য গ্রীড বিপর্যয় হলে সকল প্লান্ট চালু করে লোড ম্যানেজ করে একটি ভারসাম্য পর্যায়ে যেতে সময় লাগে। তারপরও ১লা নভেম্বরে বিকেলেই সিলেটের আরইবির তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী নূরুল হক বললেন, বিকাল চারটার আগেই তারা আঞ্চলিক গ্রীড চালু করে বিদ্যুত্ দিতে পেরেছেন। 

যদিও সেদিন বিকাল ৪টায়ও আবার এরকম চালু হওয়া সব বন্ধ হয়ে যায় পুনঃট্রিপ করলে। কিন্তু সেদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মত সেনসেটিভ জায়গায় বিদ্যুত্ দিতে কেন দেরি হলো সে প্রশ্নে পিডিবির এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এখানে লোড ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। পিজিসিবি প্রায় ৯০% লোড ব্যবস্থা করে। তার সাথে আছে আরইবি, ডেসকো, ডিপিডিসি। এগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে ঠিকমত সমন্বয়ের অভাব ঘটে। সেজন্য সেনসেটিভ স্থানগুলোতে পুরো লোডে চালানোর মত জেনারেটিং ইউনিট ব্যাক আপ পাওয়ার হিসাবে থাকতে হবে।


Featured post

BPSC Preparation(Technical _9Th grade)

Electrometa-welcome here BPSC JOB Sector & Its preparation. প্রথমেই বলে নেই BPSC মানে বাংলাদেশ পাব্লিক সার্ভিস কমিশন, যাকে দেশের নাগর...

Popular Ones